জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ চালুর পর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯২টি আত্মহত্যার চেষ্টা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। এসব ঘটনায় ফোন কল পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট স্থানে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আত্মহননে উদ্যত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেছেন। তবে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকজন মারা গেছেন। এ ছাড়া আত্মহত্যা সংক্রান্ত কল পেয়ে ১ হাজার ১৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় জানানো হয়, ৯৯৯ এর ‘রেসপন্স টাইম’ (সাড়া দেওয়ার সময়) আরও কমানোর চেষ্টা চলছে।
‘আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি’র বিষয়ে এই আলোচনার আয়োজন করে সিআইডি। এতে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ‘৯৯৯’ এর দায়িত্বে থাকা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক তবারক উল্লাহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়া ৯৯৯-এ বর্তমানে ৫০০ জনবল রয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি কল পেয়েছি। এর মধ্যে ১ কোটি ১৫ লাখ ফোন কলের সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে, যা মোট কলের ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে ৭৮ ভাগ পুলিশি সেবা, ৯ ভাগ ফায়ার সার্ভিস এবং ১১ ভাগ অ্যাম্বুলেন্স সংক্রান্ত সেবা।
৯৯৯ এর এই কর্মকর্তা বলেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে কলারের অবস্থান জানার সুবিধা না থাকায় আমাদের জিজ্ঞাসা করতে হয়, আপনি কোথা থেকে বলছেন? এতে সময় ব্যয় হয়। এজন্য কলারের অবস্থান জানার সুবিধা যুক্ত করার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। এটি কার্যকর হলে রেসপন্স টাইম কমে আসবে, আরও দ্রুত মানুষকে সেবা দেয়া যাবে।