খালিদ হাসান সিপাই :: ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার সেমাই কারখানাগুলো ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে শ্রমিকরা। সেমাই তৈরি, রোদে শুকানো, খাঁচি ভর্তী করে বাজারে বিক্রির কাজে ব্যস্ত শ্রমিক ও মিলাররা। কুষ্টিয়ার সাদা সেমাই এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলার বাইরেও পাঠানো হচ্ছে এ সেমাই। সেমাই বেচাকেনা নিয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরাও আড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।https://www.youtube.com/watch?v=sItpJAyqXg0&t=1s

কুষ্টিয়ার সেমাই কারখানার শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ।। kushtia semai-Haqqani tv
বছরে দু’টি ঈদ, এই ২টি ঈদেই গরীব মানুষের আনন্দের খাবার সেমাই চিনি। সেমাই ছাড়া যেন কোন মতেই ঈদ সম্ভব নয়। এ দুটি ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার সেমাই কারখানাগুলোর ব্যস্ততা বেড়ে যায়। জেলার বিখ্যাত সেমাই কারখানায় উৎপাদিত সাদা সেমাই এর চাহিদা থাকায় কারখানাগুলোতে ঈদের সামনে বিপুল পরিমাণে সেমাই তৈরি করে থাকে। ১৯৭২ সালে কুষ্টিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫ টি সেমাই কারখানা। প্রতি কারখানাতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ মন করে সেমাই উৎপাদন করছে। এসব সেমাই দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। ক’দিন পরেই ঈদ তাই সাদা সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার ১৫ টি কারখানা। ময়দা মাখানো, মেশিনের মাধ্যমে মিকচার করা, সেমাই তৈরি করে রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সেমাই শ্রমিকরা। ঈদ ঘনিয়ে আসায় কারখানাগুলোতে সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কারখানার শ্রমিকরা। কুষ্টিয়ার সুনাম অর্জিত এ সেমাই কারখানার সাথে অনেকেই জড়িত। ঈদ উপলক্ষে সেমাই এর চাহিদার কারণে শ্রমিকদের ব্যস্ততা আরো বেড়ে গেছে । এ কারখানায় কাজ করেই তাদের সংসার চলে। তাই তাদের কোন ফুরসত নাই।
কুষ্টিয়ার ফ্যাক্টরীতে তৈরি সেমাই এর চাহিদা রয়েছে অনেক। এখানকার তৈরি সেমাই উন্নতমানের ও ভালো তাই এ জেলার বাইরেও এর চাহিদা প্রচুর। সেমাইয়ের চাহিদা প্রচুর থাকলেও বৃষ্টির কারনে সেমাই তৈরিতে তারা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর সাথে বেড়েছে লোডশেডিং তাই ঈদের কাক্ষিত উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছে ব্যবসায়ীরা।
কুষ্টিয়া খাদ্য শিল্প মালিক সমিতির সেক্রেটারী জানায়, এ জেলার উৎপাদিত সেমাই মানের হওয়ায় কুষ্টিয়া জেলা ছাড়াও বাইরে এর চাহিদা রয়েছে। এখন জেলার প্রায় ১৩ টি সেমাই কারখানায় ৩৫/৪০ মন করে সেমাই তৈরি হচ্ছে। এ সেমাই কেমিক্যাল বিহীন স্বাস্থ্য সম্মত বলেও ব্যবসায়ীরা দাবী করেন।