চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারায় ‘এসএস পাওয়ার প্লান্টে’ পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাঁশখালীতে গতকালে (শনিবার) সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি পুলিশ বাদি হয়ে এবং অপরটি কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে। দুটি মামলার এজাহারে ২২ জন করে আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে কয়েক হাজার।’এর আগে গতকাল বাঁশখালীর ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ শ্রমিক। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জের ফারুক আহমদের ছেলে মাহমুদ হাসান রাহাত (২২), চুয়াডাঙ্গার অলিউল্লাহর ছেলে মো. রনি হোসেন (২৩), নোয়াখালীর আব্দুল মতিনের ছেলে মো. রায়হান (১৯), চাঁদপুরের মো. নজরুলের ছেলে মো. শুভ (২২) এবং বাঁশখালীর পূর্ব বড়ঘোনার আবু ছিদ্দিকির ছেলে মাহমুদ রেজা (১৯)।এদের মধ্যে চারজনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আরেকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মৃত ঘোষণা করা হয়।সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
এরপর শনিবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সেখানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় একটি তদন্ত কমিটি। চার সদস্যের ওই তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পুলিশের একজন, কলকারখানা অধিদফতর থেকে একজন এবং বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে একজন সদস্য নেয়া হয়। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।