নওগাঁয় প্রচন্ড গরমের মধ্যে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের। বিক্রেতা শাঁস কেটে সারতে পারছে না, ক্রেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছে শাঁস নিতে।
শিশুসহ সব বয়সী লোকের মধ্যে এই তালের শাঁসের কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। তালের নরম অংশটি খুবই সুস্বাদু গ্রাম্য ভাষায় এটি ‘তালকুশ বা তালকুর’ নামে বেশি পরিচিত। প্রচুর গরমে তালের এই শাঁস শহর ও গ্রামের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকার গাছের তালের শাঁস জেলার চাহিদা পুরন করে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
যদিও বাজারে এখন হরেক রকমের সুস্বাদু ফল উঠতে শুরু করেছে তারমধ্য রয়েছে, আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা সাথে যোগ হয়েছে রসালো ফল তালের শাঁস।
এই বিষয়ে নওগাঁ জেলায় ১লক্ষ তাল গাছ রোপন করা বৃক্ষ প্রেমী সাংবাদিক মাহমুদুন নবী বেলাল বলেন, নওগাঁ জেলার প্রতিটি গ্রামেই কম বেশি তাল গাছ রয়েছে। বর্তমানে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলিতে গলিতে এই মৌসুমি ফল তালের শাঁস বিক্রি বেড়ে গেছে। অনেক মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ক তাল পাইকারি কিনে এনে কেটে কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রয় করেন।
তবে নরম অবস্থায় তাল শাঁসের দাম অনেক বেশি। কিন্তু দিন যতই যেতে থাকে এই তাল শাঁস ততই শক্ত হতে থাকে। তখন শাঁসের দাম কমতে থাকে এবং এক সময় তাল পরিপক্ক হয়ে গেলে তখন আর এই শাঁস খাওয়া সম্ভব হয় না।
তালে শাঁস অতি পুষ্টিকর ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ। সব ধরনের ফলে দেহের জন্য উপযোগী বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও মিনারেলস সমৃদ্ধ হলেও তালে এর বহির্ভূত কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদন রয়েছে। অন্য ফলের তুলনায় এ ফলে ক্যালসিয়াম, লৌহ, আঁশ ও ক্যালোরির উপস্থিতি অনেক বেশি। বয়স্কদের জন্য এ ফলের উৎস থেকে সহজেই হজমযোগ্য পর্যাপ্ত আঁশ প্রাপ্তিতে অতি গুরুত্ব বহন করে। আখের গুড়ের চেয়ে তালের গুড়ে প্রোটিন, ফ্যাট ও মিনারেলসের উপস্থিতি বেশি
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।